কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত দৈনিক জাতীয়, স্থানীয় ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে অব্যবস্থাপনার সংবাদ প্রকাশিত পর নড়েচড়ে বসেন কুষ্টিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ। নিউজ প্রকাশের পরপরই তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে আসেন কুষ্টিয়া জেলার সিভিল সার্জন আনোয়ারুল হক। পরের দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সচিব মোঃ শহীদুজ্জামান হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ও ডাক্তারদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ ভিডিও কলের মাধ্যমে হাসপাতালসহ আইসোলেশন ওয়ার্ডের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণের জন্য বিভিন্নভাবে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন ।
পরবর্তীতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার ও আইসোলেশন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার মুসা কবীরের নেতৃত্বে রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে ঢেলে সাজানো হয় আইসোলেশন ওয়ার্ড। নিশ্চিত করা হয় সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্সদের দায়িত্ব পালন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসাসেবা প্রদানের উজ্জীবিত করা হয় দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসকদের।
এছাড়াও যেসকল চিকিৎসকরা দায়িত্ব অবহেলা করছেন তাদেরকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে। ডঃ মুসা কবীর নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের। এ বিষয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একাধিক ডাক্তার দাবি করেন বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডের রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসারত একাধিক রোগীও বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডের মানসম্মত চিকিৎসার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১২জন মেডিকেল অফিসার ১৫ জন কনসালটেন্ট চিকিৎসক ১৫ জন নার্স ও পাঁচজন ওয়ার্ডবয় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও ৩৫ স্বেচ্ছাসেবী আইসোলেশন ওয়ার্ডের রোগীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।